|

মধ্যবিত্তের অযোগ্য ভালোবাসা,নিয়তির দোষ!

এমনকি হয়েছে? আপনার পাশেই যে সারাক্ষন,জানেন সে অন্য কাউকে ভালবাসে, তারপরও হঠাৎ কোন এক রহস্যময় ক্ষনে আপনি তার প্রেমে পড়ে গেছেন? যখন আপনার অতীত থেকে পাওয়া কষ্ট টুকু সবে আপনি ভুলতে শুরু করছেন ঠিক তখনি এই খুব কাছের মানুশটাকে ভালোবেসে ফেলেছেন? যাকে ভালবাসার কথা ৪-৫ বছরে কখনো ঘুনাক্ষুরেও মনে আসে নি! তবুও তাকে ভালোবেসে ফেলেছেন, না চাইতেও। হাজার বার অস্বীকার করে নিজের মনকে তবুও বুঝ দিতে পারেন নি যে হয়তো এটা ভালোবাসা না, হয়তো এটা সাময়িক আবেগ কিন্তু আপনার ভেতরটা জানে আপনি তাকে ঠিকই ভালোবেসে ফেলেছেন, আপনি যতই এখন নিজের সাথে মিথ্যা বলেন না কেন! এই কষ্টটা নিয়ে প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়া কি খুব সহজ???

 


আর সীমাহীন ভালোবেসেও যদি আপনাকে নিশ্চুপ থাকতে হয়,যখন তাকে বলতে না পারেন নিজের মনের লুক্কায়িত আবেগের কথা গুলো। জানেন বললেই হয়তো যা আছে তা নিরানব্বই ভাগ হারানোর ভয় কিংবা সবটুকু? এই অব্যক্ত কষ্ট নিয়ে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে যখন আবিষ্কার করেন আপনি বেঁচে আছেন, তখন কি সত্যি সেটাকে বেঁচে থাকা বলে???


আপনআকে তারপরও নীরব থাকতে হয় মনের আর্তনাদকে চেপে ধরে, যখন আপনি ভালোবাসার মানুশটাকে পাশে পান, তারপরও হাসতে হয় মুখে মেকি হাসি নিয়ে। সুখি হতে হয় এই ভেবে মানুষটা তো আমার পাশে এসে একটু হলেও হাসি ফিরিয়ে দিচ্ছে! এই টুকুই বা এই জীবনে কম কিসে! জানেন সে হয়ে যাবে অন্যের,হয়তো হবে অন্যের ঘরণী! তারপরও আপনাকে হাসিমুখে তার সুখের দিনে বন্ধুত্বের দায়িত্ব পালন করে যাবেন নিজের বুকের কষ্ট এক পাশে রেখে! তারপরও কখনো অভিমানি হবেন না, খোদার কাছে বার বার চাইবেন সে যেন সুখি থাকে! কেউ যেন আপনার চাইতেও দ্বিগুণ ভালোবাসে তাকে!

জানেন আপনাকে কাটাতে সারাজীবন এই ক্ষত বুকে নিয়ে, হয়তো জাহান্নাম বাসীরাও এতটুকু যন্ত্রনা সহ্য করেনা! হয়তো চেপে রাখা কষ্ট চোখের নোনা জল বাসাবে সবার অগোচরে, হয়তো কাউকে বুঝতে দিবেন না। বলবেন এই তো আমি সুখি মানুষ, কিসের দুঃখ আমার!

অভিনয়ে কেটে যাবে হয়তো জীবন, তারপরও বুঝতে দেওয়া যাবে না! নিজের থেকে মাত্রাতিরিক্ত যখন কাউকে ভালোবাসা হয় তখন কি তাকে সত্যি ভোলা যায়। হ্যা মানুশজন বলে, সময় অনেক কিছুই ভুলিয়ে দেয়। কিন্তু সব ক্ষত্রে, সবার ক্ষেত্রে কি এটা সত্যি হয়???

তারপরও আপনি কখনো সে মানুশটাকে বলতে পারবেন না তাকে আপনি কতটুকু ভালোবাসেন, এই যে ব্যাথা সেটা কি সহজে ভুলা যায়?? কিন্তু তখনি বাস্তবতা আপনাকে মাটিতে নিয়ে আসে! তোমার মত মধ্যবিত্ত ছেলের ভালোবাসার কি কোন সুযোগ আছে??? যেখানে তোমার পরিবারের দায়িত্ব তোমার কাঁধে, সেই মেয়েটিই বা কোন দুঃখে তোমাকে গ্রহন করে নেবে?? তুমি তো এমন কেউ আহামরি না! নিজের দাম জানতে শেখো ছেলে! অতঃপর সব কিছু ছেলেটাকে বোবা করে দেয়।

কিন্তু ভালোবাসা তো কোন ফর্মুলা মেনে হয় নি… ভালোবাসা তো হয়ে যায়, কোন এক অদৃষ্টের পরিহাসে হয়তো কিংবা বিধাতার খেয়ালে…ছেলেটিও না চাইতেও ভালোবেসে ফেলেছে! ছেলেটি কি বুঝে নাই এই ভাগ্যটাই তাদের মত পরিবারের ছেলেদের সাথে থাকে না ………বড্ড দোষ করে ফেলেছে ছেলেটি, ভাগ্যের দোষ! এটাই ছেলের নিয়তি সে কি জানতো?!

ছেলেটি জানে সে কতটুকু ভালোবাসে তাকে, কতটুকু ভালবাসলে এই সব শব্দ গুলোয় কীবোর্ডে নোনা জল পরে! কতটুকু ভালোবাসলে নোনা জলের দাপটে এই লেখায় হাত থেমে যায়! তারপরও হাসিমুখে বাইরের মেকি আমিটা ধরে রেখে মেয়েটিকে হয়তো বলবে, কোন সমস্যায় আমি তো আছি! হয়তো মেয়েটি বুঝবে না এই কথাটুকুর আড়ালে কত টুকু ভালবাসা মিশে আছে! তারপরও ছেলেটি ভালোবেসে যাবে ভালোবাসার মানুশটির ভালো প্রার্থনা করে, নিজের প্রতি রাতের কষ্ট গুলো এক পাশে জমিয়ে রেখে সে হয়তো সারা জীবন ঘুমানোর চেষ্টা করে যাবে!

যার যোগ্য হয়েই উঠতে পারলাম না তার দিকে তাকানোর বা তাকে নিজের জীবনে চাওয়ারই কিংবা তাকে ভালোবাসি সেটা বলার শক্তি আমার নেই……তার যোগ্য যদি হতাম,ভাগ্য যদি আজ আমার সাথে থাকত মেয়েটিকে বলতাম তার হাসি মাখা মুখ দেখতে খুব বেশী ভালবাসি আমি।এই ভাগ্যটাই যদি আজ আমার সাথে থাকত মেয়েটির চোখের দিকে তাকিয়ে কেঁদে কেঁদে বলতাম “বিশ্বাস কর খুব বেশী ভালবাসি, খুব……………খুব বেশী”

কিন্তু এই ভাগ্যটাই আমাদের মত পরিবারের ছেলেদের সাথে থাকে না ……!

তাদের বুকের পাশে আজীবনের ক্ষতই নিয়তি……!!!

তারপরও চাই আমার ভালোবাসা থাকুক ভালোবাসার বেড়াজালে সব সময়, কোন কষ্ট যেন থাকে ছুঁতে না পারে। আমি না হলাম, অন্য কাউকে সে ভালবাসুক, যে মানুষটা তার সব দুঃখ কষ্টে তাকে আগলে রাখবে।

আমার হাজার রাত্রি যাক নির্ঘুম ভালোবাসাহীন তারপরও আমার ভালোবাসার মানুশটি সুখে থাকুক, ভালো থাকুক……

ফেসবুক/নিশনামা

প্রথম প্রকাশ – আমার সামহোয়্যার ইন ব্লগে……

Similar Posts

এই লেখা পড়ে আপনার কেমন লেগেছে? কমেন্ট করুন ও আমাকে জানান! আসুন এই আলাপের মাধ্যমে একই ইন্টারেস্টে আমরা বন্ধু হই!

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.