ইলন মাস্কের দুনিয়া (স্পেশাল ইস্যু ০১) | নিশনামা ডাইজেস্ট ৫২
ইলন মাস্ক আমাদের এই পৃথিবী বাঁচানোর মিশনে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মানুষকে মাল্টি-প্ল্যানেটারি স্পেসিসে পরিণত করতে চান। তিনি চান এই পৃথিবী ছেড়ে পৃথিবীর বাইরের গ্রহগুলোতেও আমাদের রাজত্ব হোক!
এই লক্ষ্যে নিজের সবগুলো কোম্পানি নিয়ে নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক। তার টেসলা কোম্পানি থেকে স্পেসএক্স, বোরিং কোম্পানি, নিউরালিংক ও ওপেন এআই। মহাকাশ থেকে ইলেকট্রিক কার, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা থেকে সোলার, আনলিমিটেড ইন্টারনেট পৃথিবীর যেকোন জায়গায়, স্বয়ংসম্পূর্ণ রোবটসহ আরো নানান জায়গায় তার মাথা কাজে লাগাচ্ছেন।
ইলন মাস্কের দুনিয়াটা কেমন?
আসুন দেখে নেই এক ঝলক!
নিশনামা ডাইজেস্টের ৫২তম ইস্যুতে স্বাগতম!
এই ইস্যুটি একটি স্পেশাল ইস্যু।
এই ইস্যুতে শুধু মাত্র “ইলন মাস্ক”কে ফিচার করা হয়েছে।
এই রকম কিছু স্পেশাল ইস্যু আমি মাঝে মাঝে লিখব। এগুলা শুধু একটা টপিক ফোকাস করে লেখা হবে। নিয়মিত ইস্যু নাম্বার ছাড়াও স্পেশাল ইস্যু গুলার আলাদা নাম্বার থাকবে। যেমন এটা স্পেশাল ইস্যু ০১, একই সাথে আবার ইস্যু ৫২!
ইলন মাস্ক নিয়ে স্পেশাল এই ইস্যুতে যা আছেঃ
- ইলন মাস্কের ভাবনা
- ইলন মাস্কের নেভার গিভ আপ মেন্টালিটি
- স্পেসএক্স কত বড়?
- স্পেসএক্স এর দুই ঘণ্টার ট্যুর -সাথে ইলন মাস্কের স্পেস ইঞ্জিন ব্রেক-ডাউন
- এয়াররেক যেভাবে ইউটিউবের ইলন মাস্ক হয়ে উঠছে
- ইলন মাস্ককে নিয়ে ব্লুমবার্গ রিস্ক টেকার প্রোফাইল
- ইলন মাস্কের ট্র্যাজিক ছোটবেলা
- ইলন মাস্কের মায়ের সাক্ষাৎকার
- ইলন মাস্ক -দ্যা প্রোফাইল
♣ এই সপ্তাহের ভাবনা
◘ “যখন এয়ার ট্রাভেলের মতো স্পেস ট্রাভেল কমন হয়ে যাবে তখন এই সভ্যতার ভবিষ্যত নিশ্চিত হবে।”
“আপনি প্রতিদিন সকালে উঠতে চান এবং ভবিষ্যতের নিয়ে এক্সাইটেড হতে চান। আমাদের সেই জিনিসগুলির জন্য লড়াই করা উচিত যা আমাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে উদ্দীপ্ত করে। এটি কেবল একের পর এক দুঃখজনক সমস্যা সমাধানের বিষয়ে হতে পারে না।”
— ইলন মাস্ক
◘ যে পার্থক্যগুলো আমাদের বুঝা উচিতঃ
◘ আর কত সস্তা মোটিভেশন খুঁজবেন? এটা দেখুন –
♣ টেক
◘ “আপনি যদি একটি কোম্পানি তৈরি করার চেষ্টা করেন, এটি আসলে একটি কেক বেক করার মতো। আপনার সঠিক অনুপাতে সমস্ত উপাদান থাকতে হবে।”
— ইলন মাস্ক
◘ স্পেসএক্স ঠিক কত বড়?
ইলন মাস্কের স্পেস কোম্পানির নাম হচ্ছে স্পেসএক্স।
এক সময় রিউজেবল রকেটের ধারণা শুধুমাত্র সায়েন্স ফিকশনে ছিল। নাসা বা অন্যান্য দেশ যে রকেট বানিয়ে মহাকাশে পাঠাতো তা শুধু একবার ব্যবহার করা যেত। এবং অনেক অনেক বেশি খরচের ব্যাপার ছিল।
ইলন মাস্ক তার এই স্পেস কোম্পানি বানিয়েছিল এই আইডিয়া নিয়ে যে সে এমন রকেট বানাবে যা আগের সব রকেটের খরচের চেয়ে একদম কম হবে, এবং একই সাথে অনেক বার একেক রকেট ব্যবহার করা যাবে।
এই আইডিয়া শুনে খোদ রকেট সাইন্সের লোকেরা ইলন মাস্ককে নিয়ে অনেক হাসাহাসি করেছিলো। বলেছিল এইসব কখনো সম্ভব নয়। কিন্তু ইলন মাস্ক দমে যায় নি। সে তার মতো আর কিছু হাতে গুনা পাগল নিয়ে এই কোম্পানি স্পেসএক্স শুরু করে।
প্রথম যাত্রাটা মোটেই সুখকর ছিল না। বেশ কয়েকটা রকেট তাদের নষ্ট হয় উড়তে গিয়ে। কিন্তু এরপর দীর্ঘ পরিশ্রমের পর সফলতা আসে।
“স্পেসএক্স-এর কৃতিত্বের মধ্যে রয়েছে পৃথিবীর চারপাশে কক্ষপথে পৌঁছানোর জন্য প্রথম ব্যক্তিগতভাবে অর্থায়িত তরল-চালিত রকেট; আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি মহাকাশযান পাঠানোর প্রথম বেসরকারি কোম্পানি; একটি অরবিটাল রকেট বুস্টারের জন্য প্রথম উল্লম্ব টেক-অফ এবং উল্লম্ব প্রপালসিভ ল্যান্ডিং; এই ধরনের বুস্টারের প্রথম পুনঃব্যবহার; এবং কক্ষপথে এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মহাকাশচারীদের পাঠানোর প্রথম বেসরকারি কোম্পানি। স্পেসএক্স ফ্যালকন 9 সিরিজের রকেট একশোরও বেশি বার উড়েছে এবং অবতরণ করেছে।”
১০০ এর বেশিবার উড়েছে স্পেসএক্সের রকেট! বিশ্বাস করা যায়!?
৫ বছর আগেও যা শুধু কল্পনা ছিল!
যারা স্পেসএক্স কত বড় জানতে ইচ্ছুক তারা এই ভিডিও দেখতে পারেন।
“যদি আপনি ভিডিওতে এটি মিস করেন, স্পেসএক্স বর্তমানে লঞ্চ থেকে প্রায় $3 বিলিয়ন এবং স্টারলিংক থেকে প্রায় $1 মিলিয়ন উপার্জন করছে, তবে 2030 এর জন্য রেভিনিউ প্রেডিকশন অনেক হাই! দেখে মনে হচ্ছে স্পেসএক্স লঞ্চে প্রায় $30 বিলিয়ন, $30 বিলিয়ন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এবং আরও 20 বিলিয়ন ডলার পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট থেকে যদি সবকিছু এখনকার মতো চলতে থাকে! বেশ অবিশ্বাস্য আয়, তাই না?”
◘ ইলন মাস্ক ২০২১ সালে ইউটুবার টিম ডডকে টেক্সাসের স্টারবেস ফ্যাসিলিটি ঘুরিয়ে দেখান। যেখানে SpaceX এখন পর্যন্ত সবচেয়ে লম্বা রকেট তৈরি করছে, যার নাম স্টারশিপ।
এই টুইটার থ্রেডে এই দুই ঘণ্টার ভিডিওকে ব্রেক-ডাউন করা হয়েছে।
ভিডিওতে ইলন মাস্ক তার 5-STEP নকশা এবং উত্পাদন প্রক্রিয়া বুঝিয়ে বলেছে। স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে আপনি আগ্রহী হলে এই থ্রেড পড়তে পারেন আর ভিডিওটা দেখতে পারেন।
টিম টডের সাইট থেকে বাকি সব নোটস পাবেন।
যারা মুটামুটি রকেট সাইন্স, মহাকাশ আর স্পেসএক্স নিয়ে আগ্রহী আমি বলবি কি, এই ইউটিউবারকে ফলো করার জন্য।
◘ এই কোটে ইলন স্পেসএক্স ও টেসলা নিয়ে কথা বলছে, এক সময় ফান্ডিংয়ের অভাবে স্পেসএক্স বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো। তখন ইলন মাস্ক নিজের সব টাকা পয়সা এখানে ঢেলে তার জীবনের সবচেয়ে বড় রিস্ক নেয়।
♣ ক্রিয়েটর ইকোনমি
◘ কিভাবে ইউটুবার এয়াররেক ইউটুবের ইলন মাস্ক হয়ে উঠলো?
শিরোনামে হয়তো হাস্যকর লাগতে পারে।
তবে এটা আমার দেওয়া না, ফর্বসের দেওয়া। এখানে ইলন মাস্কের মেন্টালিটির উদাহারণ দেওয়া হয়েছে।
কিভাবে এরিক “Airrack” ডেকার ইউটিউবের ইতিহাসে অন্যান্যদের পেছনে ফেলে দ্রুততম সময়ে প্রায় ৭ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অর্জন করেছে? তার সাক্ষাত্কারের নেয়ার পরে, একজন ক্রিয়েটর হিসাবে তার কর্মজীবন আশ্চর্যজনকভাবে ইলন মাস্কের উদ্যোক্তা যাত্রার কথা মনে করিয়ে দেয়।
যারা ক্রিয়েটর ইকোনমি নিয়ে ইন্টারেস্টেড ও নিজেকে একজন ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে দেখতে চান তাদের জন্য ফোর্বসের এই আর্টিকেল অবশ্য পাঠ্য। যদিও অনেক আগের সাক্ষাৎকার, এয়াররেকের সাবস্ক্রাইবার এখন ৭ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
♣ ইউটিউব থেকে
◘ ২০১৪ সালে ব্লুমবার্গ ইলন মাস্কের একটা ভিডিও প্রোফাইল করে যেটা আমার খুব পছন্দের। এই সিরিজটার নাম ব্লুমবার্গ রিস্ক টেকার প্রোফাইলস।
সেখান থেকেঃ
“Elon Musk (ইলন মাস্ক), উদ্যোক্তা যিনি পেপাল তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন, আমেরিকার প্রথম কার্যকর সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি তৈরি করেচেন, তিনি দেশের সবচেয়ে বড় সৌর শক্তি সরবরাহকারী কোম্পানি শুরু করেছেন এবং বেঁচে থালে হয়তো আমাদের জীবদ্দশায় বাণিজ্যিক মহাকাশ ভ্রমণকে বাস্তবে পরিণত করতে পারে!”
◘ ইলন মাস্ককে একজন সফল মানুষ হিসেবেই দেখি আমরা। কিন্তু তার ছোটবেলা কি খুব বেশি আনন্দময় ছিল?
ইলন মাস্কের ছোটবেলার অন্ধকার দিক, কিভাবে তা পরবর্তী জীবনকে গড়ে দিয়েছে।
♣ মাস্ট রিড আর্টিকেলস
◘ “আমি আমার বাচ্চাদের লালনপালন করেছি যেমন আমার বাবা-মা আমাদের ছোটোবেলায় লালনপালন করেছেন: স্বাধীন, সদয়, সৎ, বিবেচ্য, ভদ্র এবং কঠোর পরিশ্রম করা ও ভাল কাজ করা,” বলেছেন এলন মাস্কের মা, মে মাস্ক।
সাকসেসফুল ছেলেমেয়েদের সিঙ্গেল মাদার হিসেবে বড় করা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ইলন মাস্কের মা। মে মাস্কের এই সাক্ষাৎকারটা পড়তে পারেন। নিজ ক্ষেত্রেও এই মহিলা একজন সফল মডেল ও লেখিকা!
◘ ইলন মাস্ক – ভবিষ্যতের আর্কিটেকচার। ইলনকে নিয়ে একটা পূর্নাঙ্গ প্রোফাইল। পড়তে পারেন।
♣ এ সপ্তাহের ছবি
♣ এই সপ্তাহের উক্তি
এই সপ্তাহের “নিশনামা ডাইজেস্ট” ইস্যু ৫২ এখানেই শেষ করছি।
এই স্পেশাল ইস্যু কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন। ইলন মাস্ক নিয়ে আগ্রহ থাকলে তাও জানাবেন। প্রতি সপ্তাহে পড়ুন নতুন ইস্যু।
– নিশাত শাহরিয়ার
নিশনামা ডাইজেস্ট – প্রতি সপ্তাহে আমার চিন্তাভাবনার প্রতিচ্ছবি ও পছন্দের দেখা, পড়া, শোনার একটা ডিজিটাল ডায়েরী।
সাপ্তাহিক ভাবনা, টেকনোলজি, ক্রিয়েটর ইকোনমি, ইউটিউব থেকে, এ সপ্তাহের গান,ও ছবিসহ অনেকগুলো ক্যাটাগরী নিয়ে প্রতি সপ্তাহে নতুন ইস্যু প্রকাশিত হয় আমার ওয়েবসাইট নিশনামা ডট কমে! পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।”
লেখা ভালো লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন প্লিজ! 😊
🙏 দয়া করে আমার লেখা কপি-পেস্ট করবেন না। 👉 ফেসবুকে লিংক শেয়ার অপশনটা ব্যবহার করুন। কোন গ্রুপে বা টাইমলাইনে কেউ আমার লেখা নিজের নামে চুরি করলে ইনবক্সে অথবা মেনশন করে আমাকে জানাবেন প্লিজ। 👏
মনে রাখবেন প্রতিটি লেখাই যেকোন লেখকের নিকট সন্তানতুল্য <3
✍️ লেখালিখি 👣 দিনলিপি 👀 চিন্তাভাবনা 🧠 দর্শন 🗣 আইডিয়া 📖
পড়ুন আমার ওয়েবসাইট নিশনামা ডট কম।
নিশনামা ডাইজেস্ট এর পুরাতন ইস্যুগুলো পড়ুন এখানে।
আমাকে ফলো করুন এইসব সাইটেঃ